কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা
  আমরা কাঁচা হলুদের নানা গুনের কথা শুনে থাকি। কিন্তু হয়তো অনেকেরই জানা নেই
  কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো। কাঁচা হলুদ হল একটি প্রাকৃতিক উপাদান।
  অনেকেই কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম না জেনেই
  কাঁচা হলুদ ব্যবহার করে যাচ্ছে। কিন্তু অবশ্যই আমাদের জেনে রাখা ভালো কাঁচা
  হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো।
  
  পুরো পৃথিবীতে কাঁচা হলুদ পাওয়া যায়। কাঁচা হলুদ অনেক প্রজাতির রয়েছে। কাঁচা
  হলুদ আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। তাই এই আটকেলে কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও
  অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পেজ সূচিপত্র: কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা
  আমরা অনেকেই কাঁচা হলুদের নানা ধরনের উপকারের কথা শুনে থাকি। কাঁচা হলুদ যে কোন
  বাজারে খুব সহজে পাওয়া যায়। আমরা হলুদ তরকারিতে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু কাঁচা
  হলুদ নিয়মিত খেলে আমাদের শরীর নানা ধরনের উপকার পেয়ে থাকে। কাঁচা হলুদের
  উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা
  আলোচনা করব কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম এবং কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা
  সম্পর্কে বিস্তারিত।
  কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা জানার পূর্বে আপনাদের জেনে থাকা উচিত যে কাঁচা
  হলুদের কি পরিমান পুষ্টিগণ এবং কি কি উপাদান পাওয়া যায়।
  কাঁচা হলুদের পাওয়া যায় ক্যালোরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট। এবং
  এছাড়াও পাওয়া যায় বিভিন্ন ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই,
  ভিটামিন বি৬, আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ,
  জিংক, সেলোনিয়াম , ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম। এবার নিচে আলোচনা করা
  হলো কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো
কাঁচা হলুদের উপকারিতা
  ব্যথা কমানোর কাজেঃ আমাদের শরীরে যেকোনো ধরনের ব্যথা বা যন্ত্রণা কমানোর
  কাজে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। কারণ কাঁচা হলুদের পাওয়া যায়
  অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি। এ উপাদানটি শরীরে যেকোনো ধরনের ব্যথাকে নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে সাহায্য করে।
  তাই যে কোন ধরনের ব্যথা নিরাময়ের জন্য আপনি কাঁচা হলুদ খেতে পারেন নিয়মিত।
  ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেঃ মানবদেহের শরীরে অনেক ধরনের কোষ বিদ্যমান। যদি
  কোন কারনে শরীরের অ্যাবনরমাল কোষগুলো ধীরে ধীরে বৃদ্ধি হতে থাকে তাহলে মানবদেহের
  শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়ার মাধ্যমে
  এই ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমানো যায়। কারণ যে অ্যাবনরমাল কোষ গুলোর মাধ্যমে শরীরে
  ক্যান্সারে প্রবণতা বাড়ে সে কোষগুলোকে বাধা প্রয়োগ করার জন্য প্রয়োজন অ্যান্টি
  অক্সিডেন্ট এর মত উপাদান।
  আরো পড়ুনঃ
   কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
  আর কাঁচা হলুদের পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার ফলে কাঁচা
  হলুদ আমাদের শরীরের ভিতরে গিয়ে এই কোষগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে। এবং আমাদের শরীরে
  বাকি কোষগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
  লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ অনেক সময় নানা কারণে আমাদের লিভার যেকোনো
  সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই লিভার ভালো রাখতে প্রয়োজন বেশ গুরুত্বপূর্ণ
  কিছু অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর মত কিছু উপাদান। যে উপাদানগুলো আমাদের লিভার ভালো
  রাখতে সাহায্য করবে। এই লিভার ভালো রাখতে প্রতিদিন কাঁচা হলুদের খাওয়ার কোন
  জুড়ি নেই।
  কারণ কাঁচা হলুদেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
  এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুলো আমাদের শরীরে ভিতরে প্রবেশ করে লিভার থেকে বিষাক্ত
  পদার্থ গুলো বের করে লিভার কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই নিঃসন্দেহে আপনি কাঁচা
  হলুদ খেতে পারেন লিভারের সমস্যা সমাধানের জন্য।
  মস্তিষ্কের জ্ঞান বৃদ্ধির কাজেঃ বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্ক
  যেন নানান ধরনের সমস্যা এবং চিন্তায় আসক্ত। যেমন দেখা যায় ভুলে যাওয়া, অলসতা,
  দুশ্চিন্তা এবং ডিপ্রেশনের মত মারাত্মক সমস্যায় আক্রান্ত আমাদের মস্তিষ্ক। কিন্তু
  এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ঘরোয়া এ কাঁচা হলুদই যথেষ্ট। নিয়মিত কাঁচা হলুদ
  খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবং আমাদের মস্তিষ্কের জ্ঞান
  বৃদ্ধি বাড়তে থাকে।
  হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেঃ আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া
  যায় একটি হল খারাপ কোলেস্টেরল এবং অপরটি ভালো কোলেস্টেরল। আমাদের শরীরে খারাপ
  কোলেস্টরের পরিমাণ যদি বৃদ্ধি হতে থাকে তাহলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে
  যায়। এই খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমানোর জন্য নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেতে হবে।
  নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে এই খারাপ কলেস্টরের পরিমাণ কমতে থাকবে এবং ভালো
  কোলেস্টেরল গুলো বাড়তে থাকবে। অর্থাৎ বলা যায় নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়ার
  মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে না।
  শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
  কম থাকলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বেধে থাকে। তাই শরীরের রোগ
  প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ
  পদার্থগুলো। তাই বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বা খনিজ পদার্থ এর জন্য আপনাকে ভিন্ন
  ভিন্ন খাবার গ্রহণ না করলেও চলবে।
  যদি আপনি প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খান তাহলে আপনার শরীর এই সমস্ত উপাদান গুলো গ্রহণ
  করবে কারণ আমরা উপরে বলেছি কাঁচা হলুদে কি পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ পাওয়া
  যায়। অর্থাৎ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করার জন্য আপনি নিয়মিত কাঁচা
  হলুদ খাবেন।
  ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেঃ আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের
  ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে ত্বকের ওপরে কোষগুলো মৃত হয়ে যায়। যার ফলে ত্বক
  তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। এই মৃত কোষগুলোকে সরিয়ে ফেলার জন্য প্রয়োজন
  অ্যান্টি-মাইক্রোবাল।
  এই উপাদানটি ত্বকের উপর ব্যবহার করা হলে ত্বকের কোষ গুলো পুনরায় জীবিত হয়ে
  যাবে। এই উপাদানটি পাওয়া যায় কাঁচা হলুদে। তাই কাঁচা হলুদ নিয়মিত ত্বকে
  ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা
  করবে।
  সর্দির প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করেঃ সাধারণত আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের
  ব্যাকটেরিয়ার কারণে অনেক সময় সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কিন্তু কাঁচা
  হলুদ খেলে এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় খুব সহজে।
কাঁচা হলুদের অপকারিতা
  কাঁচা হলুদের সেইরকম কোন অপকার নেই তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে নিচের
  সমস্যাগুলো সৃষ্টি হতে পারে।
  এলার্জিঃ অনেকের অনেক কিছুতেই এলার্জি সমস্যা থাকতে পারে। যাদের কাঁচা
  হলুদের এলার্জি রয়েছে তারা কাঁচা হলুদ খেলে তাদের শরীরে ছোট ছোট দাগ দেখা দিতে
  পারে। তাই যাদের কাঁচা হলদে এলার্জি রয়েছে তারা কাঁচা হলুদ খাওয়া থেকে বিরত
  থাকবেন।
  হজমের সমস্যাঃ কাঁচা হলুদ আমাদের অনেক ধরনের উপকার করে থাকে। তাই বলে এটি
  বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত না। অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা হলুদ খেলে হজমের সমস্যা
  সৃষ্টি হতে পারে এর ফলে গ্যাস্ট্রিক দেখা দেই।
  রক্তের ঘনত্ব পাতলাঃ বেশি পরিমাণে কাঁচা হলুদ খেলে আমাদের শরীরে
  কোলেস্টেরলের মাত্রা অধিক পরিমাণে কমে যায় যার ফলে রক্তের ঘনত্ব পাতলা হতে শুরু
  করে যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর।
  রক্তের সুগারের পরিমাণ কমে যায়ঃ নিয়মিত কাঁচা হলুদ পরিমান মত খেলে কোন
  ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে না। কিন্তু বেশি পরিমাণে কাঁচা হলুদ খেলে আমাদের শরীরের
  রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যাবে যার ফলে লো ব্লাড সুগার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিবে।
  এছাড়াও যেসব মহিলারা গর্ভবতী তারা কাঁচা হলুদ খাওয়ার পূর্বে অবস্থা ডাক্তারের
  পরামর্শ নিবেন। এমন কি ছোট বাচ্চাদেরও কাঁচা হলুদ গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকের
  পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
  কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম অনেকেই জানেনা। অনেকেই কাঁচা হলুদ খায় কিন্তু তারা
  নিয়ম না মেনে এবং না জেনে। যার ফলে হয়তো তারা আশানুরূপ ফল পায় না। কাঁচা হলুদে
  পাওয়া যায় অনেক ধরনের উপাদান। তাই আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কাঁচা
  হলুদ খাওয়া হয়। কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রতিদিন
  গড়ে মাত্র ২০০ থেকে ২৫০ মিলিগ্রাম হলুদ খেতে পারেন।
  আরো পড়ুনঃ বীর্য ঘন করতে খেজুর 
  কাঁচা হলুদ সকালে এবং রাতে দুইবার খাওয়া যাবে। সকালে অবশ্যই খালি পেটে কাঁচা
  হলুদ খেতে হবে এবং খাওয়ার পর কমপক্ষে ৩০ মিনিট কোন খাবার গ্রহণ করা যাবে না। এবং
  রাতে আপনি ঘুমানোর আগে দুধের সাথে হলুদ মিস করে খেতে পারেন। তবে বেশি পরিমাণে
  হলুদ হওয়া যাবে না প্রতিবারই হলুদ এর পরিমাণ ২০০ থেকে ২৫০ মিলিগ্রাম এর মধ্যে
  রাখতে হবে।
  কারন বেশি পরিমাণ হলুদ খেলে তাতে অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ
  কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বলতে হলে বলা যায় কাঁচা হলুদে রয়েছে
  অনেক উপকার তাই কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়মটি আপনাকে ভালোভাবে জেনে রাখা উচিত।
কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম
  মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা হয়। মুখের ত্বক সুন্দর
  রাখতে কাঁচা হলুদের তুলনা হয় না। কিন্তু কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম জেনে
  ব্যবহার করা উচিত। কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম হল।
- হলুদ লাগানোর পূর্বে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
- এবার হলুদ প্যাকটি পুরো মুখে সমানভাবে ব্যবহার করুন।
- মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর এটি ধুয়ে নিন। ২০ মিনিটে বেশি মুখে হলুদ লাগিয়ে রাখবেন না।
- হলুদ উঠিয়ে নেয়ার সময় ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন যেন কোন জায়গায় হলুদ না লেগে থাকে ।
- অবশ্যই হলুদ উঠানোর সময় মুখে কোন সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না।
- হলুদ উঠানোর পর কমপক্ষে 12 ঘন্টা ত্বকে কোন ধরনের ফেসওয়াস বা সাবান ব্যবহার করবেন না।
কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়
  কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয় এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। প্রিয় পাঠক, কাঁচা
  হলুদে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ উপাদানগুলো আমাদের শরীরের
  জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং
  মিনারেল যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই কাঁচা
  হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয় এর সম্পর্কে একটি পূর্ণ ধারণা আপনাদেরকে দেওয়ার চেষ্টা
  করব। আমরা উপরে কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
  আরো পড়ুনঃ খালি পেটে কলা খেলে কি হয়
  উপরে আমরা আলোচনা করেছি কাঁচা হলুদ খেলে কি ধরনের উপকার পাওয়া যায়। তাই
  প্রতিদিন যদি আপনি পরিমাণ মতো কাঁচা হলুদ খান তাহলে আপনার শরীরের অনেক ধরনের
  উপকার দেখতে পাবেন। তবে হ্যাঁ আপনি যদি বেশি পরিমাণে কাঁচা হলুদ প্রতিদিন গ্রহণ
  করে থাকেন তাহলে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যাবে,
  রক্তের ঘনত্ব পাতলা হয়ে যাবে এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যা থেকে আপনার
  গ্যাস্ট্রিক দেখা দিতে পারে।
সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি উপকার হয়
  সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি উপকার হয় জানেন? বিজ্ঞানীদের মতে প্রতিদিন
  সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে নানা ধরনের উপকার পাওয়া যায়। গুড়ো হলুদ খাবেন
  না ভুলেও। কারণ গুঁড়ো হলুদে অনেক ধরনের ভেজাল থাকে। তাই প্রতিদিন দুইবার করে
  কাঁচা হলুদ খেলে আপনি নিম্নোক্ত উপকার গুলো পাবেন।
- পরিমাণ মতো কাঁচা হলুদ খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।
- কাঁচা হলুদ নিয়মিত গ্রহণ করলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- বয়স বাড়ার সাথে সাথে যে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় কাঁচা হলুদ খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
- প্রতিদিন পরিমাণ মতো কাঁচা হলুদ খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারেন। কাঁচা হলুদ হার্টভালো রাখতে সাহায্য করে রাখতে সাহায্য করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে কাঁচা হলুদ।
- লিভার ভালো রাখলে সাহায্য করে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে।
- যে কোন ধরনের ব্যাথা ও যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে।
- সর্দি কাশির প্রতিশোধক হিসেবে কাজ করে।
  উপরে কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
  মূলত প্রতিদিন দুধের সাথে কাঁচা হলুদ মিস করে খেলে উপরোক্ত উপকারগুলো পাওয়া
  যায়। অথবা আপনি আধা গ্লাস পানিতে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনার
  ত্বককে ভিতর থেকে সুন্দর করতে সাহায্য করে।
শেষ কথাঃ কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা
  আমরা আমাদের শরীর ভালো রাখতে অনেক কিছু করে থাকি। কিন্তু আমরা কি আমাদের শরীরে
  সচেতন? আমরা প্রতিদিন নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুব
  ক্ষতিকর। যার ফলে দেখা যায় আমাদের শরীর অনেক সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
  অসুস্থ হওয়ার পূর্বেই আপনি আপনার শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন খাবার তালিকায়
  অল্প পরিমাণে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করে থাকুন।
  কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলোর মাধ্যমে হয়তো আপনি অনেক উপকৃত হলেন।
  আমাদের আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
  ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
 

চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url