বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক - ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  যে কোন ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রয়োজন টাকা। কেননা টাকা ছাড়া কোন
  ধরনের ব্যবসা শুরু করা যায় না। টাকার প্রয়োজনীয়তার উপরে ভিত্তি করে প্রথমে যে
  বিষয়টি মাথায় আসে সেটি হচ্ছে ব্যাংক লোন। ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য
  বেশিরভাগ ব্যাংক জামানত নিয়ে থাকেন। কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা বিনা জামানতে ঋণ
  দেয়। আপনারা অনেকেই জানেন না বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক এবং ব্যাংক লোন
  পাওয়ার উপায় কি?
  
  আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে জেনে যাবেন বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন
  ব্যাংক এবং ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় কি? এর সম্পর্কিত সকল তথ্য। এ আর্টিকেলে
  নতুন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তার জন্য সহজে কিস্তিতে লোন, ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন
  নেওয়ার নিয়ম, কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এবং কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন
  পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পেজ সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
  নতুন ব্যবসার সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু লোনের জন্য জামানতের অভাবে ব্যবসা কে সামনের
  দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না। বাংলাদেশে অনেক সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক
  রয়েছে যারা বিনা জামানতে ঋণ দেয় এবং অল্প সুদে ঝামেলা মুক্ত শর্ত প্রদান করে
  ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে।
  এই আর্টিকেলে আপনি সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক,
  উদ্যোক্তাদের জন্য আরও জানতে পারবেন সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক, এ
  ছাড়া অনেক সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে যারা সুদ ছাড়া ব্যাংক লোন দিয়ে
  থাকে।
সহজ কিস্তিতে লোন
  সহজ কিস্তিতে লোনের জন্য আমরা বিভিন্ন ব্যাংক অথবা এনজিওগুলোতে আবেদন করে থাকি।
  তবে এনজিও এবং ব্যাংকগুলি শর্ত ছাড়া কোন ধরনের ঋণ দেয় না। একটি ব্যাংক বা এনজিও
  সর্বপ্রথম যে শর্ত প্রদান করে বা বিবেচনা করে দেখে যে আপনি তাদের ঋণের মাসিক
  কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন কিনা।
  আরো পড়ুনঃ অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ
  যদি আপনি তাদের প্রত্যেক মাসের কিস্তি পরিশোধ করার ক্ষমতা রাখেন তাহলে ব্যাংকগুলো
  বা এনজিওগুলো সহজ কিস্তিতে লোন দিয়ে থাকে। যে সমস্ত ব্যাংক বা এনজিওগুলো বিনা
  জামানতে ঋণ দেয় সে সকল ব্যাংক সমূহ সহজ কিস্তিতে লোন প্রদান করে থাকে।
  ধরুন আপনার এক লক্ষ টাকা লোন লাগবে সে ক্ষেত্রে ব্যাংক আপনাকে বিভিন্ন শর্ত দিবে
  তার মধ্যে অন্যতম একটি শর্ত হচ্ছে আপনি প্রত্যেক মাসে সঠিক সময়ে কিস্তি প্রদান
  করতে পারবেন কিনা? এছাড়াও পার্সোনাল লোনের সুদের রেট, সাধারণ লোনের চাইতে অনেক
  বেশি হয়।
  বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক এবং সহজ কিস্তিতে লোন দেয় কোন ব্যাংক তা নিচে
  দেওয়া হলঃ
- আশা ব্যাংক।
- ব্রাক ব্যাংক।
- গণমুখী।
- একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।
- বুড়ো বাংলাদেশ।
  যেকোনো প্রয়োজনে এ সকল ব্যাংক সমূহ থেকে আপনি সহজ কিস্তিতে লোন নিতে পারেন। এই
  ব্যাংকগুলোর মধ্যে আশা ব্যাংক খুব তাড়াতাড়ি লোন দিয়ে থাকে। আশা ব্যাংকের তিন
  ধরনের লোন রয়েছে।
- আশা-প্রাথমিক
- বিশেষ লোন এবং
- এম এস এম ই লোন
  উল্লেখিত ব্যাংক সমূহ থেকে সহজ কিস্তিতে লোন পেতে যে সকল ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন
  হবে তা নিম্নে দেয়া হলো।
- ব্যাংকের লোন আবেদন ফরম
- এনআইডি কার্ড এবং জন্ম নিবন্ধন
- ঠিকানার প্রুফ
- আয়ের প্রুফ
- আবেদনকারীর দুই কপি ছবি
  উল্লেখ্য ব্যাংক লোন আবেদন ফরম আসা মূল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে ফিলাপ করতে
  পারেন।
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা অথবা পার্সোনাল লোন এর জন্য যে সকল বিষয় মাথায়
  রাখলে ব্যাংক লোন পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাগজপত্র। গ্রাম বাংলার
  মানুষেরা তাদের নিজস্ব গ্রামের সমিতি বা এনজিও থেকে লোন নিয়ে থাকেন।
  আরো পড়ুনঃ
  ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  তবে সে সকল সমিতি বা এনজিওগুলোতে লোনের সুদের হার অনেক। ব্যাংক লোন পাওয়ার
  সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে ব্যবসায়িক লোন। যদি আপনার ব্যবসার সকল কাগজপত্র ঠিক
  থাকে এবং একটি মোটামুটি লেনদেন হয়ে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে ব্যাংক লোন পেতে
  পারেন।
  নিচে কিছু লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো
- ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
- সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
- সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়ী লোন নেওয়ার নিয়ম
- কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
- কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
  যে সকল ব্যাংক ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক লোন দিয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে
  ইসলামী ব্যাংক। অন্যান্য ব্যাংকের চাইতে ইসলামী ব্যাংক হতে লোনের পদ্ধতি ভিন্ন
  তাই অনেকে জানতে চান ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম কি? 
  ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের লোনের সুদের হার ভিন্ন হওয়ার কারণে অনেক সময় গ্রাহককে
  বিপাকে পড়তে হয় তাই ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনার সাথে
  সাথে এই বিষয়টিও জানতে পারবেন। সাধারণ ইসলামী ব্যাংক লোনের ক্ষেত্রে ১৬% মুনাফা
  নিয়ে থাকে।
  এছাড়াও লোনের ধরন এবং মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে মুনাফার হার উঠানামা করতে পারে।
  চলুন এ পর্যায়ে জেনে নিয়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি।
- সর্ব প্রথমে বিবেচনা করতে হবে আপনি কি ধরনের লোন নিবেন
- আপনার আশেপাশে যে কোন একটি ইসলামী ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করুন। যদি আপনার আশেপাশে ইসলামী ব্যাংক না থাকে তাহলে ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করে google.com এ গিয়ে সার্চ করুন "ইসলামী ব্যাংক ব্রাঞ্চ নেয়ার মি" গুগল আপনাকে সঠিক লোকেশনটি দেখিয়ে দেবে।
- ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে সরাসরি আপনার লোনের বিষয়ে কথা বলুন।
- এরপর আপনার কাছে কিছু ডকুমেন্ট চাইবে আপনার সেলারি অথবা আয়ের উৎস জানতে চাইবে।
- পরবর্তী পদক্ষেপগুলো ম্যানেজার আপনাকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিবে।
  উপরে উল্লেখিত পদক্ষেপ গুলোই ফলো করলে আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে খুব সহজে লোন নিতে
  পারবেন।
সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
  সোনালী ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রীয় ব্যাংক। যেখানে ব্যবসায়িক
  অথবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ঋণ প্রদান করে থাকে। ঋণের জন্য অন্যান্য ব্যাংকের মতই এ
  ব্যাংকেও বিভিন্ন ধরনের শর্ত এবং কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। সাধারণত সোনালী ব্যাংক,
  ঋণ অনুমোদন করতে সময় নেয় ৭ থেকে ১৫ দিন।
  তবে ঋণের পরিমাণ এবং যিনি ঋণ নিবেন তার ওপর ভিত্তি করে এই সময়টি কম বেশি হতে
  পারে।
  সোনালী ব্যাংকের ঋণ পরিশোদের দুইটি নিয়ম আছে একটি হচ্ছে মাসিক কিস্তি এবং অন্যটি
  হচ্ছে বাৎসরিক কিস্তি। আসুন জেনে নেই সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম কি?
- সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ঋণের জন্য আবেদন করা যায়।
- এছাড়া আপনি অনলাইনেও ফর্ম নিয়ে আবেদন করতে পারেন
- গৃহঋণ নিতে সম্পত্তির মালিকানা, প্রমাণপত্র নকশা এবং অনুমোদনপত্র প্রয়োজন
- গাড়ি ঋণ নিতে গাড়ির ইন ভয়েস রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং বিমা সনদ প্রয়োজন
- শিক্ষার ঋণ নিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি বা ফি জমা দানের রশিদ প্রয়োজন
- ব্যবসায়িক ঋণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা অথবা ব্যবসায়িক সনদপত্র প্রয়োজন।
  এ সকল কাগজপত্র নিয়ে আপনি সরাসরি ব্যাংকের ম্যানেজার সাথে যোগাযোগ করে আপনার ঋণ
  সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করুন। পরবর্তী পদক্ষেপ সমূহ তিনি বলে দেবেন।
সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন
  সোনালী ব্যাংক রাষ্ট্রীয় ব্যাংক তাই এ ব্যাংকে সব ধরনের ঋণ পাওয়া যায়। তার
  মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্যবসায়িক লোন। ব্যবসায়িক ঋণের ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক বিনা
  জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক এই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে না।
  ব্যবসায়ী লোনের ক্ষেত্রে মাসিক আয়ের ওপর ভিত্তি করে সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক
  লোন দিয়ে থাকে। আসুন আলোচনার এ পর্যায়ে জেনে নিয়ে সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক
  লোন এর ক্ষেত্রে আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন এবং কিভাবে আবেদন করবেন।
- সর্বপ্রথম আপনাকে সোনালী ব্যাংকের ঋণের আবেদন পত্র সম্পূর্ণ পূরণ করতে হবে।
- সর্বশেষ নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স।
- ব্যবসায়িক ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট (বিগত ছয় মাসের)।
- জাতীয় পরিচয় পত্র।
- যদি আপনার ফার্মেসী থাকে তাহলে ড্রাগ লাইসেন্স।
- পণ্য অথবা খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে তবে অবশ্যই বিএসটিআই সার্টিফিকেট।
- এসিট অথবা ডিজেল ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ডিসির অনুমোদন পত্র।
- ডিজেল ও অকটেন ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলার সার্টিফিকেট।
- বিগত এক থেকে তিন বছরের ব্যাংকিং স্টেটমেন্ট তবে এটি নির্ভর করে আপনার ঋণের চাহিদার উপর
- ব্যবসায়িক পজিশনের দলিল অথবা ডিড এর ফটোকপি।
- টিন সার্টিফিকেট ও ভ্যাট সার্টিফিকেট।
- বিদ্যুৎ এবং টেলিফোন বিল।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
- কর্মচারীদের মাসিক বেতনের তালিকা।
- ব্যবসা যদি আমদানি ও রপ্তানির উপর ভিত্তি করে তাহলে অবশ্যই আমদানি ও রপ্তানি করার বৈধ সার্টিফিকেট।
- দেনা পাওনার তালিকা এবং পাওনাদারের তালিকা।
- অন্য কোথাও ঋণ নিয়েছেন কিনা তার বিবরণী।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ০১ রিপোর্ট।
- আবেদনকারীর ছবি এবং কাগজপত্র তার সাথে গ্যারান্টারের পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও এন আইডি কার্ড।
- বিগত এক বছরের ক্রয় বিক্রয়ের তালিকা।
  উল্লেখিত কাগজপত্র নিয়ে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করলে খুব তাড়াতাড়ি
  আপনি ব্যবসায়ী ক্লিন ঋণ পেয়ে যাবেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক এর অন্যতম ব্যাংক হচ্ছে কর্মসংস্থান ব্যাংক।
  প্রত্যেক ব্যাংকেই কিছু না কিছু জামানত নিয়ে থাকে অথবা গ্যারান্টার নিয়ে থাকে
  এক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ব্যাংক ভিন্ন। মূলত এই ব্যাংকটি দেশের বিভিন্ন বেকার অথবা
  যারা আত্ম-কর্মসংস্থানের চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের জন্য বিনা জামাতে ঋণ দিয়ে
  থাকে।
  আরো পড়ুনঃ সরকারি বীমা কয়টি কি কি
  তবে এই ক্ষেত্রে সরকারি আধা সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে
  প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৫৬০ কোটি টাকা
  ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। আসুন জেনে নিয়ে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় কি?
- নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম পাস হতে হবে কিন্তু বর্তমানে তা ফাইভ পাসে নিয়ে আসা হয়েছে।
- ঋণের জন্য আবেদনকারের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ এর মধ্যে হতে হবে
- যদি কোন ব্যক্তি ঋণ খেলাপির মামলা থাকে সে ঋণ নিতে পারবে না
- এদিনের সুদ হচ্ছে ৮% তবে ঋণ খেলাপি হলে তা ১০% করে নেওয়া হয়।
- গ্যারেন্টের হিসেবে গ্রামের নিজস্ব ঘরবাড়ি আছে এমন ব্যক্তি অথবা আবেদনকারীর মাতা পিতা সহ তৃতীয় যে কোন ব্যক্তি আবেদনকারী জামিনদার হতে পারবেন
কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  যে সকল ব্যক্তি চিন্তিত আছেন যে বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক তাদেরকে আমি বলব
  সরাসরি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে। কেননা কৃষি ব্যাংক জীবনযাত্রা মান উন্নয়নের
  জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে সর্বোচ্চ ১৮ মাস পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে।
  মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন এছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী
  হিসেবে গড়ে তোলা এবং গ্রামের মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য কৃষি ব্যাংক লোন
  দিয়ে থাকে। চলুন জেনে নিনকৃষি ব্যাংক লোন আপনি কিভাবে নিবেন?
- সর্বপ্রথম আপনি আপনার মোবাইল প্লে স্টোর থেকে বিকেবি জানালা মোবাইল অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নেবেন।
- অ্যাপস ওপেন করার পর পরবর্তী পদক্ষেপ অনুযায়ী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- আপনার নিকটবর্তী যে কোন কৃষি ব্যাংকে গিয়ে ম্যানেজারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ঋণ নিতে পারেন।
- ম্যানেজার আপনাকে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো বুঝিয়ে দিবেন।
  এছাড়া রাজশাহী ও রংপুর এর বৃহত্তম শহর গুলিতে কৃষি খাতের জন্য একটি ব্যাংক
  রয়েছে যার নাম হলো রাজশাহী উন্নয়ন ব্যাংক পি এল সি। যেখানে আপনি খুব সহজেই কৃষি
  খাতের জন্য লোন নিতে পারেন।
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
  বর্তমান সময়ে অনেক ব্যাংক রয়েছে যারা বিনা জামানতে ঋণ দিয়ে থাকে। এই লেখাটিতে
  আপনি জানতে পেরেছেন বিনা জামানতে ঋণ দেয় কর্মসংস্থান ব্যাংক। তবে যদি এখনো
  চিন্তিত থাকেনবিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক তাদের জন্য বলছি বাংলাদেশের
  প্রায় 43 টি ব্যাংক রয়েছে যারা বিনা জামাতে ঋণ দিয়ে থাকে
  আরো পড়ুনঃ উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়
  বিভিন্ন প্রকল্প উদ্যোক্তা এবং ছোটখাটো থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ীদের জন্য।
  এদের মধ্যে রয়েছে কিছু সরকারি ব্যাংক এবং কিছু বেসরকারি ব্যাংক। সরকারি ব্যাংক
  সমূহ গুলো হল
- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
- বেসিক ব্যাংক পি এল সি
- রূপালী ব্যাংক পি এল সি
- কৃষি ব্যাংক পি এল সি
- জনতা ব্যাংক পি এল সি
- অগ্রণী ব্যাংক পি এল সি এবং
- সোনালী ব্যাংক পি এল সি
বেসরকারি ব্যাংকগুলো মধ্যে অন্যতম হলো হল
- ইসলামী ব্যাংক পি এল সি
- এ বি ব্যাংক পি এল সি
- ব্রাক ব্যাংক পি এল সি
- ব্যাংক এশিয়া পিএলসি
- ডাচ-বাংলা ব্যাংক পি এল সি
- সিটি ব্যাংক পি এল সি
- ট্রাস্ট ব্যাংক পি এল সি
- আইএফআইসি পি এল সি
- ব্যাংক সাউথ পি এল সি
- বাংলা ব্যাংক পি এল সি
- মার্কেন্টাইল ব্যাংক পি এল সি
- এগ্রিকালচারাল ব্যাংক পি এল সি
- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পি এল সি
- ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক পি এল সি
- সীমান্ত ব্যাংক পি এল সি ইত্যাদি
    উল্লেখিত সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক সমূহ বিনা জামানাতে ঋণ প্রদান করে
    থাকে।
  
  সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
    অনেকে প্রশ্ন করেন বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক? সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয়
    কোন ব্যাংক?
  
  
    তাদের জন্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি। যে সকল ব্যাংক বিনা জামানতে ঋণ দিয়ে থাকে
    এর মধ্যে কিছু ব্যাংক রয়েছে যাদের সুদের হার অনেক বেশি এবং কিছু ব্যাংক রয়েছে
    যাদের সুদের হার খুবই কম।
  
  
    আরো পড়ুনঃ সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
  
  
    বর্তমান বাংলাদেশ অনেকগুলো ব্যাংক রয়েছে যারা সবচেয়ে কম সুদে লোন দিয়ে
    থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে
  
  - এবি ব্যাংক পি এল সি
- ব্রাক ব্যাংক পি এল সি
- ব্যাসিক ব্যাংক পি এল সি
      এবি ব্যাংক সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান থাকে এবং এর সুদের হার
      হচ্ছে ৭.৪%। ব্র্যাক ব্যাংকের পার্সোনাল লোনের সুদের হার হচ্ছে ৯%। বেসিক
      ব্যাংক ব্যক্তির আয়ের উপর ভিত্তি করে লোন দিয়ে থাকে এবং লোনের সুদের
      হার হচ্ছে ৮%। এক্ষেত্রে আমি বলব এবি ব্যাংক থেকে আপনি লোন নিতে পারেন কারণ
      সবচেয়ে কম লোন দিচ্ছে এই ব্যাংকটি।
    
  লেখকের শেষ কথা
    ছোট বড় মাঝারি ব্যবসা অথবা উদ্যোক্তার জন্য সকলের লোন নিতে চাই। কিন্তু লোনের
    সর্বপ্রথম বাধা হচ্ছে জামানত। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলে বিনা জামানতে ঋণ
    দেয় কোন ব্যাংক সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিত তুলে ধরেছি। এছাড়াও
    আর্টিকেলটিতে এছাড়াও আর্টিকেলটিতে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা
    করা হয়েছে। আপনি ছাড়া আপনার বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের যে কেউ যদি বিনা
    জামানতের ঋণ নিতে চায়,
  
  
    তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি তাদের সাথে শেয়ার করুন। যারা বিনা জামানতে ঋণ নিতে
    চাচ্ছেন তারা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
    পড়ুন। আর্টিকেল সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য মতামত জানাতে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট
    করুন। লোন নিন, ব্যবসা বৃদ্ধি করুন হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করুন,
    ধন্যবাদ।
  
 

চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url